Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ৩১শে জুলাই, ২০২৫ । ১৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

ভারতীয় মিডিয়ায় ওবায়দুল কাদেরের কুকীর্তি ফাঁস

গেজেট ডেস্ক

টেলিগ্রামে চাঁদাবাজি, অননুমোদিত গ্রুপ পরিচালনা ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে এবার ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ক্ষমতা হারানোর পরেও আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা কীভাবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দল পরিচালনা ও অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছেন, তা তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

টেলিগ্রাম সেশনে শেখ হাসিনার সামনে কথা বলতেও লাগে টাকা, অভিযোগের কেন্দ্রে ওবায়দুল কাদের, এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮।

আগামী ৫ আগস্ট-যে দিনটি শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার এক বছর পূর্ণ হবে। তার আগেই আওয়ামী লীগের ভেতরে তীব্র অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষসূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-কে জানিয়েছে, দলটি এখন একাধিক জটিল সমস্যার মুখোমুখি।

বাংলাদেশে দলটি নিষিদ্ধ হওয়ায় নেতারা খুব একটা অবাক না হলেও, টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মে দলীয় নেতা-কর্মীদের কথা বলার সুযোগ করে দিতে টাকা আদায়, অনুমোদনহীন গ্রুপ গজিয়ে ওঠা এবং এসব গ্রুপে গোয়েন্দা সংস্থার অনুপ্রবেশ-এসব ঘটনায় বিস্মিত আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল।

গত এক বছরে টেলিগ্রাম হয়ে উঠেছে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার দলের মূল সংগঠনিক প্ল্যাটফর্ম। কিছু গ্রুপে সদস্যসংখ্যা ২০ থেকে ৩০ হাজারের বেশি। প্রতিদিন রাত ৯টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলা এই ভার্চুয়াল আড্ডায় অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতা, বর্তমান-সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।

তবে আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো নিউজ ১৮-কে জানিয়েছে, এমনকি যখন শেখ হাসিনা নিজে কোনও টেলিগ্রাম সেশনে উপস্থিত থাকেন, তখনও কে তার সামনে কথা বলবে তা নির্ধারণে অর্থ লেনদেন হয়। এই বিষয়ে সন্দেহের কেন্দ্রে রয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের এখন নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মঞ্চ হিসেবে টেলিগ্রামকে বেছে নিয়েছেন। প্রতিদিন একাধিক গ্রুপে নিজে কথা বলার সময়সূচি ঠিক করেন এবং প্রায়ই বলেন ‘ঢাকা ঘেরাও’ করার ডাক। তবে তার বক্তব্যে সময়সীমা বা বাস্তব পদক্ষেপের নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব আছে বলেও অভিযোগ।

দলটির এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজ ১৮-কে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরকে এখন কর্মীরা প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখার জন্য টেলিগ্রামে অসংখ্য গ্রুপ তৈরি করেছেন। এগুলো দলের জন্য নয়, একটি অর্থনৈতিক প্রতারণা চালানোর জন্য। শীর্ষ নেতৃত্ব জানতে পেরেছে, তিনি দলের সিনিয়র নেতা, সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, যাতে তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিতে পারেন।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন